আগস্ট ৭, ২০১৬
মোঃ নুরে শাহী আলম (লাবলু)/
বন্যার সময় নদী পথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্পিড বোড ব্যবহার করার কথা। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পার হয়ে গেলেও স্পিড বোডটি এখনও থানা চত্বরে পরে রয়েছে। জ্বালানি সংকটের কারণে ব্যবহার করা হয়নি স্পিড বোডটি, জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বানভাসিরা চরাঞ্চলে যেতে শুরু করেছে। যার কারণে নৌকা ডাকাতি শুরু হয়েছে বিভিন্ন চরাঞ্চলে।
গত ৭ দিনের ব্যবধানে হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরে ৩ দিন ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। অথচ নৌপথে ব্যবহার করা হচ্ছে না স্পিড বোড। গেল বছর এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নাবিক এন্টারপ্রাইজ-১০ নামের স্পিড বোডটি ক্রয় করে থানা পুলিশকে নৌ পথে টহলের জন্য প্রদান করেন। সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।গেল বছর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ডিজেল ক্রয় করে নৌ পথে টহল দেয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে ভয়াবহ বন্যা পার হয়ে গেলেও স্পিড বোডটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।
স্পিড বোডটির অবস্থান বর্তমানে থানা চত্বরে। হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান, পুলিশ যদি প্রতিদিন দুইবার করে নৌপথে টহল প্রদান করত, তাহলে নৌ-ডাকাতি সংঘটিত হত না। পুলিশি টহল না থাকার কারণে দিন দুপুরে ডাকাতি সংঘটিত হয়ে আসছে।
নৌ পথে টহলের জন্য স্পিড বোড থাকলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীতে প্রতি বছর নৌ-ডাকাতি সংঘটিত হয়ে কোটি টাকার সম্পদ খোয়া যাচ্ছে
থানা অফিসার ইসরাইল হোসেন জানান, জ্বালানি তেলের জন্য কোন প্রকার বরাদ্দ না থাকায় স্পিড বোডটি চালানো সম্ভব হচ্চে না। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দ না দেয়ায় আমরা স্পিড বোডটি ব্যবহার করতে পারিনি।
জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা/ ৭ই আগস্ট, ২০১৬ ইং